Details

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়ে । ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ ,নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড চালায় । এমন অবস্থায় বাঙালিরা নিরুপায় হয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় । পরে আনুষ্ঠানিক ঘোষনার পরে বাঙালিরা পশ্চিম পাকিস্তানির বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে । ভারতের সমর্থনের ফলে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় ঘটে । অপারেশন সার্চলাইট এর উদ্দ্যেশ্য ২৫ মার্চ রাত থেকে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযঞ্জ । এই অপারেশননের উদ্দ্যেশ্য ছিল বাঙালির জাতীয়তাবাদ দমন করা । এই আন্দোলন ছিল পাকিস্তানি শাসকদের আদেশে ১৯৭০ সালের নভেম্বরে পরিচালিত অপারেশন ব্লিট্স এ পরবর্তি অনুষঙ্গ । পাকিস্তানিরা চেয়েছিল ২৬ এ মার্চ এর মধ্যে বড় বড় শহর দখল করাও রাজনৈতিক ,সামরিক বাহিনীদের চিন্হ মুছে দেওয়া । বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় । গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি স্বাধীনতা ঘোষনা পত্রে স্বাক্ষর করে তত্কালীন চট্টগ্রামে অবস্থিত ইপি আই ট্রান্সফরমারে করে পাঠানো হয় । ২৬ শে মার্চ বেতার কেন্দ্রের কয়েক জন কর্মকর্ত ও আওয়ামীলিগের নেতা প্রথমে মাইকিং করে প্রচার করে । পরে ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান নিজে চট্টগ্রাম কালুর ঘাট থেকে বঙ্গবন্ধুর হয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয় । স্বাধীনতা দিবস যেভাবে পালিত হয় বাংলাদেশের সব জায়গায় এই দিবসটি অনেক বর্ণাঢ্য ভাবে পালিত হয় । সৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয় । সূর্যদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসকোরি ,স্বায়ত্বস্বাসিত ও ব্যাক্তি মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান গুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়ক গুলোর চারদিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাখা হয় । জাতীয় স্টেডিয়ামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ, শরিরচর্চা, প্রদরশনি ও সমাবেক করে থাকে । বিভিন্ন চ্যানেল গুলোতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সম্প্রচার ও করা হয় । বাংলাদেশের স্বাধীনতার পুরষ্কার বাংলাদেশ সরকার এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বেসামরিক সম্মাননা পদক দিয়ে থাকেন । ১৯৭৭ সাল থেকে এই পদক পতিবছর প্রদান করা হয় । জাতীয় জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে এই পদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের এই পদক প্রদান করা হয় ।